OrdinaryITPostAd

জেনে রাখুন শীতকালীন সবজি গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে

 ভুমিকাঃ আমরা সবাই জানি যে গাজর একটি শীতকালীন সবজি। কিন্তু এখন প্রায় সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। এটি একটি পুষ্টি গুণ সম্পন্ন সবজি। আর গাজরে প্রচুর ক্যারোটিন আছে। গাজর একটি কাঁচা সবজি।এটা খেতে খনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। এর উৎপত্তিস্থল মধ্যপ্রাচ্য এবং আফগানিস্তান। আবাক হওয়ার বিষয় টি হলো আগে ছিল বেগুনি এবং হলুদ। আর বর্তমানে আমরা কমল রঙের গাজর খেয়ে থাকি।  গাজরে প্রচুরন পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ ও অন্যান্য উপাদান আছে।

জেনে রাখুন শীতকালীন সবজি গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে 

★ আসুন, এবারে জেনে নিয় গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে,
সূচিপত্র :

১. পুষ্টি গুণ 
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ক্যারেটিন আছে। প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে ৮৫ গ্রাম জলীয় অংশ, ০.৯ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.২ গ্রাম আঁশ,৫৭ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি,১.২ গ্রাম আমিষ,০২ গ্রাম চর্বি, ১২.৭ গ্রাম শর্করা, ২৭ মি.গ্রা. ক্যালসিয়াম, ২.২ মি.গ্রা. লৌহ, ১০৫২১ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন,০.০৪ মি.গ্রা. ভিটামিন বি-১,৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি,ও ভিটামিন বি-২ রয়েছে। 

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 
গাজরে ভিটামিন সি সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াবে। নিয়মিত গাজর খাওয়া জীবাণু থেকে আপনার শরীরেরজন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক ঢাল তৈরি করে। এবং আপনাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ করে বাড়িয়ে তুলে। গাজর আরো বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রতিকার করতে পারে। এবং গাজরে ভিটামিন -এ যুক্ত থাকায় এ্যজমা রোগীদের জন্য অত্যন্ত একটি খাবার। এই গাজর খেলে শ্বাস প্রশ্বাস এবং ফুসফুস ভালো থাকে। তাই আপনারা প্রতিনিয়ত গাজর খাবার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার শরীর অত্যন্ত ভালো থাকবে। 

৩. ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়ায় 
গাজর প্রতিনিয়ত খান এবং আপনারদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ান। একই বিটা করোটিন যা গাজরকে তাদের কমলা রং দেয় কে উজ্জ্বল করবে। মনে রাখবেন অতিরিক্ত পরিমাণে গাজর খাবেন না কারণ এগুলো আপনার ত্বককে সাময়িকভাবে হলুদ রঙ্গে পরিণত করতে পারে। গাজরে থাকা বিটা করোটিন ভিটামিন এতে রূপান্তরিত হয়। "এ" অসাধারণ কারণ ভিটামিন এ দৃঢ় থাকুক এবং স্বাস্থ্যকর ত্বকের প্রচার করে। এবং গাজর খেলে আপনাদের চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। টাই মুখমণ্ডল  উজ্জলের ক্ষেত্রে গাজর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাবার। এতে করে আপনাদের মুখের ত্বক অনেক উজ্জ্বল করে তোলে। 
৪. দাঁতের শক্তি ক্ষমতা বাড়ায় 
গাজর খেলে আপনার দাঁত সুস্থ এবং মজবুত থাকবে। এটি গ্রহর লড়াইকারি সবজি হিসেবে দীর্ঘ পরিচিত,কাঁচা গাজর চিবানোর একটি প্রাকৃতিক টুথব্রাশ হিসেবে কাজ করে। গাজরে প্লাগ- ফাইটিং এবং ভিটামিন এ ও বেশি থাকে যা সূক্ষ্ম দাঁতের এল কে শালী করতে সাহায্য করে। আপনার শরীর এবং ত্বকে হাইডেটেড রাতে নিয়মিত গাজরের রস পান করুন -অথবা গাজর ভিত্তিতে ক্রিমের মতো ইউজ টু গাজোর পুষ্টিকর সুপার রিস ওয়াটার পান করুন। এতে করে আপনার দাঁত অনেক মজবুত এবং শক্তিশালী হবে। 

৫. যৌন শক্তি বাড়ায়
গাজর ও মুলার জুস পান করলে আপনার যৌন শক্তি বাড়বে এবং মাসে অন্তত ২৫০ গ্রাম গাজরের পুডিং খেলে আপনার যৌন শক্তি বাড়বে। প্রতিদিন ২-৩  গ্লাস গাজরের রস পান করলে আপনার প্রাণুর সংখ্যা বেড়ে যায়। গাজরে এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারটিন। এগুলো শুক্রাণু তৈরি করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব পুরুষেরা নিয়মিত গাজর খায় তাদের দেহে বেশি শুক্রাণু তৈরি হয়। গাজরে ভিটামিন এ আর ভিটামিন এ লিভার ফাংশনেও অবদান রাখে। লিভার হল হরমোন উৎপাদনের গুদাম। 

৬. হাড় মজবুত করে 
ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম করার জন্য প্রয়োজন এবং এই দুটি গাজরে উপযুক্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। গাজরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন থাকে। এবং গাজরে ক্যালসিয়ামের মাত্রাটাও থাকে। আর আমাদের দেহের হার মজবুত করতে ক্যালসিয়াম একটি অন্যতম অংশ। যে ক্যালসিয়াম দ্বারা আমাদের হার মজবুত ও অধিক শক্তিশালী করে তুলে। আর একটি সুস্থ মানুষকে প্রতিদিন থেকে আড়াইশো গ্রাম গাজর খাওয়া অত্যন্ত উপকারী একটি। তাতে করে আমাদের শরীরের হাড় মজবুত হয়। 

গাজর যেমন সুস্বাদু তেমনি একটি খুব ভালো স্বাস্থ্য বর্ধক খাদ্য এবং গাজর খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে এর অর্থ এই নয় যে আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন।আপনাকে এর অত্যাধিক খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে কারণ এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে আপনি এর সুবিধা সম্মুখীন হতে পারেন  তা হলোঃ

১. গাজর হল বিটা করোটিনের একটি খুব ভালো উচ্চ যা আপনার শরীরের ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করে কিন্তু আপনি যদি এটি খুব বেশি পরিমাণে খান তাহলে এটি আপনার শরীরকে বিবর্ণ করে দিতে পারে। 

২. গাজরে চিনির মাত্রা বেশি তাই আপনি যদি ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন তাহলে গাজর কাঁচা অবস্থায় সিদ্ধ করবেন না। গাজর খেলে যে ক্ষতি হয় তা এড়াতে পারেন। এবং এটি রোগীদের জন্য খুব বেশি বড় অনে খাওয়া ক্ষতিকারক দিক হয়ে উঠবে। 

৩. এটি বেশি খেলে হজমের ব্যাধি যেমন, গ্যাস, ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, ইত্যাদি আরো নানারকম রোগ হতে পারে। এবং এটি খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির প্রভাব পড়তে পারে। 

৪. বেশি গাজর বা এর রস খাওয়া মায়ের দুধের সাত পরিবর্তন করতে পারে।  পারে মহিলা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের শুধুমাত্র সীমিত পরিমাণে গাজর খাওয়ানো উচিত। তাই অতি মায়েদের ক্ষেত্রে রস বা গাজ তাই একটু কম খাওয়াবেন। তা না হলে মায়েদের বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন ঘটবে এতে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা হতে পারে যেমন ডায়রিয়া, অথবা পেট ব্যথা। এজন্য গাজর মাত্রার বেশি খাওয়া যাবে না। 

আরো অনেক বিষয়ে তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন,( আদিলা আই.টি.)



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪